

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বরিশালে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং অন্তত অর্ধশত বাস ভাঙচুরের জেরে রোববার সকাল থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাস মালিক ও শ্রমিকরা। সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শ্রমিকরা অবস্থান নিলেও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
হঠাৎ পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী বিকল্প হিসেবে মাহিন্দ্রা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অল্পসংখ্যক ব্যক্তিগত পরিবহনের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হন। তবে এসব পরিবহনে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ বা তারও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাস শ্রমিকদের দাবি, সংঘর্ষে ভাঙচুর হওয়া বাসগুলো চলাচলের অযোগ্য এবং বহু শ্রমিক আহত হয়েছেন। “ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ থাকবে,” জানান তাঁরা।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশারেফ হোসেন বলেন, “বিনা উসকানিতে শিক্ষার্থীরা শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে। অসংখ্য বাস ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে, কাউন্টারেও আগুন দিয়েছে। মালিকদের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।” তিনি দ্রুত ঘটনার বিচার ও সমাধান দাবি করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর মালিক–শ্রমিকরা প্রতিবাদ হিসেবে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাফ ভাড়া ইস্যুতে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ, হাতেম আলী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় নুর পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগসহ প্রায় অর্ধশত বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতজন আহত হওয়ার অভিযোগ মিলেছে।
পরিবহন বন্ধ থাকায় বরিশালজুড়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন