

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও জনসাধারণের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী অংশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে আগাছা ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ঘটখালী নামক স্থান থেকে এই অভিযান শুরু হয়। স্থানীয় সমাজসেবক ও যুবদল নেতা মোমেন আকনের উদ্যোগে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় আমতলীর বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের তরুণরা।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আমতলী এসএসসি ২০০৭ ব্যাচ, স্বপ্ন ছোঁয়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, আমরা আমতলীবাসী, আমতলী উপজেলা যুবদল, আমতলী কলেজ ছাত্রদল, চাওড়া ইউনিয়ন যুবদল, বাংলাদেশ ছাত্র শিবির, ইসলামী যুব আন্দোলন, স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ।
দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচির সমাপ্তি হয় আমতলী ফায়ার সার্ভিসের সামনে।
স্থানীয়রা জানান, তরুণদের এই স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগে এলাকায় ব্যাপক প্রশংসার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজটি করার কথা কিন্তু তারা নীরব, অথচ তরুণদের এই উদ্যোগে বিনামূল্যে এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় মহাসড়কটি অনেকাংশে নিরাপদ হয়ে উঠেছে।
আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম. কাওসার বলেন, “আমতলী অঞ্চলের প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এলাকাটি পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার প্রধান প্রবেশপথ হওয়ায় এ সড়কে যানবাহনের চাপ দিন দিন বাড়ছে। ফলে ছয় লেনবিশিষ্ট আধুনিক সড়ক নির্মাণ এখানে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এটি এখন একটি ব্যস্ততম মহাসড়কে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক পর্যটক চলাচল করেন।
মোমেন আকন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সবার দায়িত্ব। এই সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের প্রিয়জন প্রতিনিয়ত হারাচ্ছি। এই অনুভবের জায়গা থেকেই আমাদের সামান্য সচেতনতা ও উদ্যোগ একটি প্রাণ বাঁচাতে পারে। এ উদ্যোগ দেখে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তরুণরাও সড়ক নিরাপত্তা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় এগিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী—কুয়াকাটা মহাসড়কের প্রায় ৩৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ঝোপঝাড়ের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ছয় মাস আগে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
