

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন। একই দাবিতে উচ্চ আদালতে রিটও দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা নির্বাচন অফিসের মূল ফটক ঘিরে রাখেন। ফলে কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি।
এদিকে, আসন পুনর্বহালের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দুটি পৃথক রিট পিটিশন করা হয়েছে। বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন একটি রিট করেন। এছাড়া চিতলমারি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল আরেকটি রিট দায়ের করেন। রিটে সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, দুর্গাপূজার কারণে হরতাল স্থগিত করা হলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে। তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথেও আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ, গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এর পর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এর পরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা—বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
এর আগে সোমবার ফরিদপুর-৪ আসন থেকে দুই ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ভাঙ্গায় অবরোধ চলে। সকাল থেকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা ১১টা থেকে সব সড়ক বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ভাঙ্গা থানা ও উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর করে।
দুপুর ১২টার দিকে এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান করা আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দক্ষিণপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে গিয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ভাঙ্গা ঈদগাহ মারকাজ মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়, সেখানে গিয়েও আন্দোলনকারীরা হামলা চালায়।
পরে সেখান থেকে একদল থানায় গিয়ে হামলা চালায়, আরেকদল উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর ও আগুন দেয়। এ সময় তারা প্রতিটি দপ্তরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    