শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্দুরকানীতে ১৫ সড়কের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ বন্ধ

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
ছবি সংগৃহীত
expand
ছবি সংগৃহীত

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ঠিকাদাররা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় উপজেলার ১৫টি সড়কের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কগুলোতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, ইট ও খোয়া ছড়িয়ে পড়ে আছে—ফলে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অসম্পূর্ণভাবে ফেলে রাখা এসব সড়কে এখন ধুলোবালি ও কাদার স্তর জমে আছে। অনেক প্রকল্পে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদাররা পুরো অর্থ তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে রোগী ও শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের সেউতিবাড়িয়া জিপিএস হয়ে উত্তর ভবানীপুর পর্যন্ত সড়কের নির্মাণকাজ আংশিক শেষ হলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে ঠিকাদার ও তাদের কর্মীরা আর প্রকল্প এলাকায় আসেননি। একইভাবে পাড়েরহাট ইউপি থেকে উপজেলা কলেজ মোড়, পাড়েরহাট আরএসডি রোড থেকে বৌডুবি, লাহুরিহাট রোড থেকে চালনা, কালারণ জিপিএস থেকে তালুকদার হাট,পত্তাশী ইউপি থেকে খেজুরতলা বাজারসহ মোট ১৫টি সড়কের কাজ আংশিক শেষ হওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসব প্রকল্পের কাজ পেয়েছিল তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান— ইফটি-ইটিসিএল, সরদার এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স। এর মধ্যে ইফটি-ইটিসিএল-এর মালিক ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। অভিযোগ রয়েছে, গত সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব ঠিকাদার কাজের তুলনায় বেশি অর্থ উত্তোলন করেছেন।

ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, “এই উপজেলার নির্মাণাধীন ১৫টি সড়কসহ পিরোজপুর জেলার আরও কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মন্ত্রণালয় ও এলজিইডির বিশেষ টিম তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফরিদ হোসেন বলেন, “এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দূর করতে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। দ্রুত সড়কগুলোর কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন