

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সোমবার (১৭ নভেম্বর) জেনেভা থেকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাম্প্রতিক রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়ে যে বিচার হয়েছে, তা ভুক্তভোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত।
রাভিনা শামদাসানি উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই তারা বারবার দাবি করে আসছেন অপরাধে জড়িত সবাইকে, বিশেষ করে যাঁরা নেতৃত্ব বা কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন, আন্তর্জাতিক মান অনুসারে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার, প্রতিকার এবং ক্ষতিপূরণের সুযোগ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তারা।
বিচার আয়োজন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়ে জাতিসংঘকে আগাম জানানো হয়নি। তবে জাতিসংঘ সবসময়ই আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ জবাবদিহি, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এবং ন্যায়সঙ্গত বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে এমন প্রেক্ষাপটে যেখানে দণ্ড ঘোষণার সময় অভিযুক্ত উপস্থিত ছিলেন না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে—এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
মৃত্যুদণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে, এবং এই রায়ে মৃত্যুদণ্ড অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে।
তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানান। রাভিনা শামদাসানি আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ সত্য উদ্ঘাটন, ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ এবং সংস্কারের একটি সমন্বিত ধারায় এগিয়ে যাবে। বিশেষত নিরাপত্তা খাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী অর্থবহ ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এমন লঙ্ঘন আর না ঘটে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সহায়তা করতে জাতিসংঘ প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন
