

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম সরকারি অর্থে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিলাসবহুল বিমান কেনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিজের ব্যবহারের জন্য ক্রিস্টি নোয়েম দুটি গালফস্ট্রিম G700 সিরিজের জেট বিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছেন।
বিমান দুটি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছেছে এবং এর মোট মূল্য ১৭ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, যা পুরোপুরি সরকারি অর্থ থেকে পরিশোধ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর মার্কিন কংগ্রেসে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
সিনেটের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান চাক শুমার এক ভিডিওবার্তায় বলেন, জনগণের করের টাকায় বিলাসবহুল জেট কেনা সরকারি অর্থের ভয়াবহ অপচয়। আমরা গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিসের (GAO) মাধ্যমে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি।
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন—কেন জনগণের অর্থ দিয়ে এমন বিলাসবহুল বিমান কেনা হলো, তার যৌক্তিক কারণ কী? জনগণের জবাব জানার অধিকার আছে।
সিনেট অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, এই বিমান দুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য কেনা হয়েছে।
তবে শুমার এই ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে বলেন— যে সময়ে মার্কিন জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে হিমশিম খাচ্ছে, গাড়ির কিস্তি ও বিদ্যুতের বিল মেটাতে কষ্ট হচ্ছে, সে সময় একজন মন্ত্রী যদি জনগণের টাকায় বিলাসবহুল জেট কেনাকে অগ্রাধিকার দেন, তবে সেটি দায়িত্বহীনতার চূড়ান্ত উদাহরণ।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত উপকমিটি ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে।
তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বিমান ক্রয়ের বিস্তারিত তথ্য ও অনুমোদনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নথি চেয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনা শুধু প্রশাসনিক অস্বচ্ছতার বিষয় নয়, বরং সরকারের ব্যয় নীতির নৈতিক প্রশ্নও তুলছে।
মন্তব্য করুন
