

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফিলিস্তিনের অধিকারকর্মী মাহমুদ খলিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
তার অভিযোগ, ফিলিস্তিনবিরোধী কিছু সংগঠনের সঙ্গে প্রশাসনের গোপন আলোচনার কারণে তার গ্রেপ্তার ও কারাবাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হয়েছে। খলিল এসব আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশের দাবি জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
চলতি বছরের শুরুতে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে যুক্ত থাকার কারণে খলিলকে আটক করা হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু সংগঠন প্রশাসনের কাছে তার এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছে এবং এ বিষয়ে তারা প্রকাশ্যে গর্ব প্রকাশ করেছে।
খলিলের আইনি সহায়তায় থাকা সংস্থা সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর) জানায়, এই তথ্যের ভিত্তিতেই প্রশাসন খলিলসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি কর্মকাণ্ডে যুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।
খলিল জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে তিনি বেনামি ব্যক্তি ও সংগঠন থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের শিকার হয়েছেন। তার দাবি, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে যে প্রশাসনিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে, তাতে কারা ভূমিকা রেখেছে তা সবার জানা উচিত।
সিসিআর আরও জানায়, খলিল গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলপন্থী সংগঠন বেতার ইউএসএ তার বাসস্থান ও অন্যান্য তথ্য সরকারকে সরবরাহ করেছিল। এরপর ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি গ্রুপ খলিলকে আমেরিকা থেকে নির্বাসনের আহ্বান জানায়। আগেও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ওই গ্রুপের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য শাই ডেভিডাই একই ধরনের আহ্বান জানিয়ে ছিলেন।
সিসিআরের অ্যাটর্নি ও জাস্টিস ফেলো আদিনা মার্কস-আরপাদি বলেন, যারা গণহত্যা ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার ও এই গোষ্ঠীর মধ্যে যোগাযোগের প্রকৃতি জানা জনগণের মৌলিক অধিকার। সাধারণ মানুষেরও এ তথ্য জানা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
