

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির নতুন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নিতে সৌদি আরব থেকে ধর্মীয় আলেমদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আয়োজকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জন্য বিরিয়ানি রান্না করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হুমায়ুন কবিরকে বহিষ্কারের পরও তিনি এই মসজিদের কাজকে প্রধান অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বা প্রশাসনিক বাধার বিষয়ে তিনি চিন্তিত নন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মোরাদিঘির কাছের ২৫ বিঘা জমিতে অনুষ্ঠানে কয়েক লাখ মানুষ উপস্থিত হবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মীয় নেতারাও অংশ নেবেন।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কনভয়ে সৌদি আরব থেকে দুই আলেম আগমনের কথা রয়েছে। মসজিদ স্থাপনের আয়োজন এনএইচ-১২ মহাসড়কের পাশে একটি বিশাল এলাকায় হচ্ছে। স্থানীয় সাতটি কেটারিং সংস্থা বিরিয়ানি রান্নার দায়িত্ব পেয়েছে।
অতিথিদের জন্য প্রায় ৪০ হাজার প্যাকেট এবং স্থানীয়দের জন্য আরও ২০ হাজার প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। খাবারের ব্যয় একা ৩০ লাখ রুপির বেশি হতে পারে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য ধানক্ষেতে ১৫০ ফুট লম্বা ও ৮০ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চে প্রায় ৪০০ অতিথির বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যার নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১০ লাখ রুপি। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রায় ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন।
হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, সকাল ১০টায় কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন দুপুর ১২টায় সম্পন্ন হবে। আনুষ্ঠানিকতা দুই ঘণ্টা আগে থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল খালি করা হবে।
এই বিশাল আয়োজন প্রশাসনকেও সতর্ক করেছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশনার পর জেলা পুলিশ হুমায়ুন কবিরের দলকে নিয়ে আলোচনা করেছে। জনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং মহাসড়কের যান চলাচল ঠিক রাখতে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। প্রশাসন আশঙ্কা করছে, এনএইচ-১২ মহাসড়কে জনজট ও যানজট তৈরি হতে পারে।
রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ তৃণমূলের অভ্যন্তরে অস্বস্তি তৈরি করেছে। হুমায়ুন কবিরের মতে, অনুষ্ঠানটি শুধু মসজিদ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্যাপন নয়, এটি জনসমাবেশ ও প্রতিরোধ প্রদর্শনের একটি পরীক্ষা।
তিনি বলেন, মানুষ আসবে, কারণ এটি এই এলাকার জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
মন্তব্য করুন

