

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেও আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। মাঠে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে, খুব শিগগিরই বাজার ভরে যাওয়ার কথা তার ওপর এখনও গুদামে রয়েছে এক লাখ টনের বেশি পুরোনো মজুত। তবুও বাজারে দেখা দিয়েছে কৃত্রিম সংকট, যার মূল ভুক্তভোগী সাধারণ ক্রেতারা।
হিলি সীমান্তে যেখানে একদিন আগেও কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকা, সেখানে এক লাফে তা ১৩০ টাকায় পৌঁছেছে। নতুন পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে। হঠাৎ এমন ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী—এক দিন আগেও যে পেঁয়াজ প্রতি মণ ৩ হাজার ২০০–৩ হাজার ৩০০ টাকায় ক্রয় করা যেত, এখন সেটি ৪ হাজার ২০০–৪ হাজার ৩০০ টাকায় উঠেছে। মণপ্রতি প্রায় হাজার টাকার বৃদ্ধির ফলে খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।
বিক্রেতারা আশা করছেন, ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে। কিন্তু বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, সরবরাহ সংকট দেখানোর এই কৌশল মূলত সিন্ডিকেটের চিরাচরিত পদ্ধতি—সরকারকে আমদানি অনুমতি দিতে বাধ্য করার কৌশল হিসেবেই তারা এটি ব্যবহার করে থাকে।
প্রতিবছর অক্টোবরের পর থেকেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের ফলে পেঁয়াজের বাজার চাপে পড়ে এবং ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা। এ সময়ে প্রশাসনকে অনেক সময় নিষ্ক্রিয় দেখা যায়—এমন অভিযোগও রয়েছে।
সিন্ডিকেটের প্রভাব শুধু সীমান্ত এলাকায় নয়, রাজধানীতেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার কাওরান বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৫০ টাকায়। নয়াবাজারে ১৪০ টাকা, রামপুরায় ১৬০ টাকা এবং জিনজিরা বাজারে ১৪০–১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ মাত্র দুই দিন আগেই দাম ছিল ১১০ টাকার মধ্যে। অক্টোবরের শেষে দাম ছিল ৭০ টাকা, আর সেপ্টেম্বরে ৬০–৬৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ড. জামাল উদ্দীনের মতে, বাজারে প্রকৃত সরবরাহ ঘাটতি নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে সংকট দেখিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে আমদানির অনুমতি আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও এক লাখ টনের বেশি পুরোনো পেঁয়াজ মজুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন

