

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম জাতীয় দলে খেলার সময় যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নারী দলের সাবেক নির্বাচক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু এবং নারী বিভাগের সাবেক ইনচার্জ প্রয়াত তৌহিদ মাহমুদ তার প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছিলেন।
জাহানারার দাবি, শুধু যৌন হয়রানি নয়, তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত করার পেছনেও দলের কিছু কোচিং স্টাফ ও কয়েকজন সহখেলোয়াড়ের ভূমিকা ছিল।
এই অভিযোগ প্রকাশের পরই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৃহস্পতিবার রাতেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, অভিযোগগুলোর সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়, “জাতীয় নারী দলের এক সাবেক ক্রিকেটার দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন। বোর্ড খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও পেশাদার পরিবেশ বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর জাহানারার পাশে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। সংগঠনটি দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি নারী ক্রিকেটের জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সব স্তরে এমন ঘটনার সুষ্ঠু ও গভীর তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
এর আগে এক জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নারী দলের বর্তমান অধিনায়ক নিগার সুলতানার বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ তুলেছিলেন জাহানারা। সে সময় বিসিবি সেই অভিযোগগুলোকে “ভিত্তিহীন” বলে অভিহিত করেছিল।
২০১১ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় জাহানারা আলমের। সর্বশেষ তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।
মন্তব্য করুন
