শুক্রবার
০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির মিত্রদের ৪০ আসনে যারা মনোনায়ন পাচ্ছেন!

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম। ফাইল ছবি
expand
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম। ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৎপরতা বাড়ছে।

এরই মধ্যে দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বাকি ৬৩টি আসনের কিছুতে দলের নিবেদিত ও গ্রহণযোগ্য নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

আর অবশিষ্ট আসনগুলো নিয়ে বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সূত্র জানায়, সর্বোচ্চ ৪০টি আসন পর্যন্ত শরিকদের ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। তবে কোন কোন আসন ছাড় দেওয়া হবে তা নিয়ে এখনো সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে।

বিএনপি চায়, আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে ছিল, তারা যেন নির্বাচনের মিত্র হিসেবেও অংশ নেয়। পাশাপাশি নবগঠিত তরুণ নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকেও (এনসিপি) গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকার কিছু আসন নিয়েও বিএনপির মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এদিকে বিএনপির অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী এখনো আশাবাদী যে শেষ মুহূর্তে তারা প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাবেন।

এনসিপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা নিয়ে বিএনপির অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

এনসিপির একাধিক নেতা জানান, প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, তবে নির্দিষ্ট আসন নিয়ে এখনো কিছু স্থির হয়নি।

দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “সমঝোতা হতে পারে রাজনৈতিক বা আদর্শিক দিক বিবেচনায়। আমাদের সংস্কারমূলক অবস্থানের সঙ্গে যেসব দল একমত, তাদের সঙ্গে একমঞ্চে আসা সম্ভব।”

অন্যদিকে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ইতোমধ্যে ঢাকা-১৩ আসনে প্রচারণা শুরু করেছেন।

তিনি জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে সম্মতি পাওয়ার পরই এলাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন।

বিএনপির আরেক মিত্র দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থও গুলশান-বনানী এলাকায় প্রচারণায় সক্রিয়।

সূত্র জানান, ঢাকার আরও তিনটি আসন নিয়ে বিএনপি ছাড় দিতে পারে, তবে কোনগুলো—এ বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

দলীয় সূত্রের ভাষ্যমতে, তরুণদের দল এনসিপি ছাড়াও গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মামুনুল হকসহ আরও কয়েকজন নেতাকে একটি করে আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

তবে ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি) ও ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসনকে ঘিরে দলের তৃণমূলের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি; ফলে এসব আসন ছাড়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা এখনো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এরই মধ্যে বিএনপি ১৪ জন মিত্র রাজনৈতিক নেতার নির্বাচনী এলাকায় নিজ প্রার্থী দেয়নি, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে—এসব আসন শরিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকতে পারে।

তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার (পিরোজপুর-১), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-২), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (ঢাকা-১৭), এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-১), জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা (কিশোরগঞ্জ-৫), এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ (ঢাকা-১৩), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর (পটুয়াখালী-৩) ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (ঝিনাইদহ-২)সহ আরও অনেকে।

গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি বলেন, “আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নির্বাচন করব, সেটি এখন প্রায় নিশ্চিত।”

গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান বলেন, “জোটগতভাবে অংশ নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন