

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
এমন তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শাহীন সিদ্দিকের নামে উল্লেখযোগ্য সম্পত্তিরও খোঁজ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিস্তারিত পোস্টে সায়ের জানান, দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রায় ২.২ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১ কোটি টাকা) বিনিয়োগের মাধ্যমে শাহীন সিদ্দিক সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি ২০১৩ এবং ২০১৫–১৬ সালে এনটিগুয়া-বার্বুডা ও মাল্টার নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে সেগুলো সফল হয়নি।
দুবাইয়ে তিনটি সম্পত্তির খোঁজ: সায়েরের দাবি অনুযায়ী, দুবাইয়ের এরাবিয়ান র্যানচেস এলাকায় শাহীন সিদ্দিকের নামে তিনটি রিয়েল এস্টেট সম্পত্তির রেকর্ড পাওয়া গেছে- এরাবিয়ান র্যানচেস ১-এ৭৫১.১৮ বর্গমিটারের একটি প্লট, ক্রয়মূল্য: ৮.৫ মিলিয়ন দিরহাম। ক্রয়ের তারিখ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
এরাবিয়ান র্যানচেস ৩-এ দুটি ফ্ল্যাট, আয়তন: ১২৯.০৩ বর্গমিটার, মূল্য: ২.২ মিলিয়ন দিরহাম, তারিখ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩।
আয়তন: ১৪৫.৮৫ বর্গমিটার, মূল্য: ২.২৮ মিলিয়ন দিরহাম, তারিখ: ১৬ নভেম্বর ২০২৩। আয়কর রিটার্নে নেই এসব সম্পদের।
জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, সাইপ্রাসের নাগরিকত্বে বিনিয়োগ করা কোটি কোটি টাকা।
দুবাইয়ে সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যবহৃত প্রায় ১৩ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩ কোটি টাকা)
এসব অর্থ শাহীন সিদ্দিকের কর নথিতে নেই কেন?
তিনি আরও বলেন, এত বিপুল অর্থের উৎস কী, কীভাবে বিদেশে বিনিয়োগ হলো—এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। তার মতে, এগুলো সম্ভবত বৃহত্তর অর্থপাচার চক্রের মাত্র একটি অংশ।
মন্তব্য করুন
