

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতি পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম, সোশ্যাল মিডিয়া, তথ্যের সহজলভ্যতা ও গ্লোবালাইজেশনের প্রভাব এই সময়কে বিশেষ করেছে।
ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের ল্যান্ডস্লাইড জয় এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন হচ্ছে—তরুণ প্রজন্মের এই ম্যান্ডেটকে কীভাবে কাজে লাগানো উচিত?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেন দিয়েছেন শিবিরের এখন কি করা উচিত।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তার বর্ণনা দেন।
ছাত্রশিবিরকে মনে রাখতে হবে, এটি নতুন সময়, নতুন প্রজন্ম। অতীতে কিছু ক্যাম্পাসে দলীয় প্রভাব ও ‘সিট পলিটিক্স’ ছিল; এখন সেই সব পুরনো প্রথা বাদ দিতে হবে।
ক্যাম্পাসে সকল মতের শিক্ষার্থী থাকবে এবং সবার অধিকার সমান হবে। হল বরাদ্দ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বচ্ছ ও নিয়মমাফিক হবে, শিক্ষক নিয়োগ মেধা ভিত্তিক হবে, দলীয় প্রভাব বা জোরাজুরি থাকবে না।
ক্যাম্পাসে কোন ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শূন্য সহনশীলতা থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে, জোর করে মিছিল বা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেবে না।
ছাত্ররা জাতীয় রাজনীতির দলীয় এজেন্ডায় সরাসরি জড়ানো যাবে না। দলীয় রাজনীতি করবে রাজনৈতিক দল ও তাদের অ্যাক্টিভিস্টরা। তবে শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আদর্শিক ইস্যুতে মতামত দিতে পারবে, যেমন ভারতীয় আধিপত্যবাদ, ইসলামোফোবিয়া, সংবিধান, সামরিক শাসন ও গণতন্ত্র।
ছাত্রদের মূল লক্ষ্য হবে শিক্ষা ও ক্যাম্পাসভিত্তিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়। জিডিপির ৫% শিক্ষার জন্য বরাদ্দ, শিক্ষকদের বেতনস্কেল উন্নয়ন, অন-ক্যাম্পাস কাজের সুযোগ বৃদ্ধি, স্কলারশিপ ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট গবেষণার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের পেডাগজি ট্রেনিং ও গ্লোবাল মার্কেটে উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারিভাবে ঋণ ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা উচিত।
কোন জাতির জীবনে পরিবর্তনের মুহূর্ত সব সময় আসে না। ছাত্রশিবিরের সামনে এই সময় এসেছে—জাতির স্বার্থে উদাহরণ স্থাপন করার। বিজয়ের অহংকার নয়, বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নই হবে মূল চ্যালেঞ্জ। ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটলে, জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব পড়বে।
নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রশিবিরকে চিন্তা করতে হবে আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে, কে জিতবে তা নয়।
মন্তব্য করুন
