

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ১৪ মাসের মধ্যে সরকার নিজের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বা ‘ফিটনেস’ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। হাতে মাত্র চার মাস বাকি, এবং এই সময়ের মধ্যে দুইটি নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা সরকারের নেই বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে রাশেদ খান লিখেছেন, “জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে একই দিনে ভোট—হ্যাঁ। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট—না।”
তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে যখন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছিল, তখন বিশেষজ্ঞরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। সেই সময় জামায়াত ছাড়া সব দল একমত হয়েছিল। এমনকি এনসিপিওও প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে পরের দিনই এনসিপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে।
রাশেদ খান আরও বলেন, “এনসিপি ও জামায়াতের মধ্যে একটি বোঝাপড়া আছে, যা এনসিপি গোপন রাখতে চায়। মাঝে মাঝে জামায়াতবিরোধী অবস্থান দেখানো তাদের কৌশল মাত্র।”
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত যা করতে পারে না, তা এনসিপিকে দিয়ে করানো হয়। এনসিপির ভেতরে জামায়াত-শিবিরের প্রভাবশালী নিয়োগ রয়েছে, যারা সংগঠনের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছে।
রাশেদ খান উল্লেখ করেন, কিছুদিন আগে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছিলেন—“নতুন করে আরেকটি মওদুদীবাদি প্রক্সি দলের দরকার নেই।” তখনই বোঝা গিয়েছিল, এনসিপি বুঝে না বুঝে সেই পথে এগোচ্ছে। ফলে তাদের নিজস্ব রাজনীতি তৈরি হচ্ছে না।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৪ মাসেও সরকার নিজের ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি। “নভেম্বর গণভোটের প্রসঙ্গ এনে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এতে কেবল আওয়ামী লীগ উপকৃত হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ দিয়েছে। তাই ৯ মাস ধরে রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করেও কোনও ফল হয়নি; আগে থেকেই ৮৪টি বিষয়ে গণভোট নেওয়া যেত।
রাশেদ খান সতর্ক করে বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জামায়াত ও এনসিপি ছাড়া সব দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করা হচ্ছে।”
মন্তব্য করুন
