

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন হলে দেশে সকাল-বিকেল এমপি বেচাকেনা চলবে এবং সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনা বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘সংস্কার ও নির্বাচন: প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি বলেন, “স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে বর্তমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন করতে হবে।”
রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, নিম্নকক্ষে (জাতীয় সংসদ) পিআর বাংলাদেশের বাস্তবতায় কার্যকর নয়, তবে উচ্চকক্ষের ক্ষেত্রে আলোচনা হতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, এই পদ্ধতি চালু হলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি হতে পারে এবং দেশের মধ্যে নতুন করে জাতিগত বিভাজন বা ধর্মীয় দাঙ্গার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পিআর হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী হবে, এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।”
নির্বাচনী সংস্কার ইস্যুতে কমিশন ও সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, “সংস্কার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না—এমন বক্তব্য দিয়ে তারা দায় এড়াতে চাইছে। সরকারের দায়িত্ব হলো ভিন্নমতকে এক টেবিলে এনে সমাধান খোঁজা।”
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আলোচনা চলমান থাকার সময় মাঠে আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী? ভিসি-ডিসি নিয়োগের সময় যারা আন্দোলন করেনি, এখন আন্দোলনে নেমেছে। এতে বোঝা যায়, তারা নতুন সংকট তৈরি করতে চাইছে। আরেকটি ১/১১ হলে কেউ দায় এড়াতে পারবে না।”
তিনি নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিয়ে প্রশ্ন তোলেন, “অদৃশ্য সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকার কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?”
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১০৪ জনের ব্যয়বহুল সফর নিয়েও সমালোচনা করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, “সাম্যের কথা বলে সরকার বৈষম্য বাড়াচ্ছে। জাতিসংঘে মাত্র তিনটি দলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১০৪ জনের এত বড় বহর নিয়েও পরিবর্তন আসেনি।”
মন্তব্য করুন