

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। তবে চার প্রার্থীর মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা হওয়ায় দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া ওই দুই প্রার্থী হলেন বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট–মোল্লাহাট–চিতলমারী) আসনে কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল এবং বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা–মোরেলগঞ্জ) আসনে সোমনাথ দে।
স্থানীয় নেতাদের দাবি, তারা দুজনই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বর্তমানে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তিনি চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
তবে এই দাবি অস্বীকার করে কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, তিনি কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
অন্যদিকে বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সভাপতি।
তিনি একসময় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ ওই দুই প্রার্থীকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলেও আখ্যা দিচ্ছেন।
বিএনপির এক সমর্থক শিমুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন করলেও এখন বাইরের লোক এসে মনোনয়ন পাওয়ায় ত্যাগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন (তালিম) বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তাদের কিছু করার নেই।
তবে তৃণমূলে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামও বলেন, আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন তৃণমূল সহজে মেনে নিতে পারছে না।
এদিকে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বাগেরহাট-২ আসনে রবিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মশালমিছিল বের করেন বিএনপির একটি পক্ষ।
এতে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। মিছিল থেকে এম এ সালামকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয় এবং দাবি না মানলে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ঘোষণাও দেন বিক্ষোভকারীরা।
মন্তব্য করুন

