

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আটক আব্দুল হান্নান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তদন্তে পরে জানা যায়, মোটরসাইকেলের নম্বর বিভ্রান্তির কারণে ভুলবশত তাকে আটক করা হয়েছিল।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত শুনানি শেষে আব্দুল হান্নানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৩ ডিসেম্বর হাদিকে গুলি করার ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে র্যাব-২ আব্দুল হান্নানকে আটক করে। পরদিন তাকে পল্টন মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং ১৪ ডিসেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রিমান্ড চলাকালে তাকে একটি মোটরসাইকেল শোরুমের মালিকের মুখোমুখি করা হয়। এ সময় বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী হান্নানের নামে দুটি যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যায়—একটি সুজুকি জিক্সার এবং অন্যটি ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল।
তবে তদন্তে উঠে আসে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ছিল হোন্ডা ব্র্যান্ডের হর্নেট মডেল। হান্নানের মোটরসাইকেলের নম্বর ঢাকা মেট্রো-ল ৫৪-৬৩৭৫, যা একটি সুজুকি জিক্সার। ঘটনার মোটরসাইকেলের নম্বরের সঙ্গে একটি সংখ্যাগত বিভ্রান্তি ছিল—শেষ অঙ্কে ৬ হওয়ার কথা থাকলেও ৫ শনাক্ত হওয়ায় ভুল সন্দেহ তৈরি হয়।
রিমান্ড শেষে গত ১৭ ডিসেম্বর হান্নানকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই দিন পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক নন এবং নম্বরজনিত ভুলের কারণেই তাকে আটক করা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় আদালত আজ তাকে জামিন দেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ডিআর টাওয়ারের সামনে মোটরসাইকেলে করে আসা ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগীরা চলন্ত একটি অটোরিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়, সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন

