

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশে সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের ইউনিট মূল্য ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ২৯.২৫ টাকা করা হয়েছে।
নতুন মূল্য আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এই ঘোষণা দেন বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য কর্মকর্তারা, যার মধ্যে ছিলেন সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহিদ সারওয়ার ও সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া।
এর আগে, পেট্রোবাংলা এবং বিভিন্ন গ্যাস বিতরণ সংস্থা ১৬ টাকা থেকে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
৬ অক্টোবর এ বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়, দাম বৃদ্ধি হলে অতিরিক্ত ৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করে সার উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে।
অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পূর্ণমাত্রায় (প্রতি মাসে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। এপ্রিল-মে, জুন ও জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ধারাবাহিকভাবে কম মাত্রার গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
বিসিআইসির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, ২০২২ সালে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলে দাম ৪.৪৫ টাকা থেকে ১৬ টাকা করা হয়েছিল, কিন্তু প্রকৃত সরবরাহ কমে গিয়েছিল। যদি গ্যাস পর্যাপ্তভাবে পাওয়া যায়, বছরে ২০ লাখ টনের বেশি সার উৎপাদন সম্ভব।
২০ লাখ টন উৎপাদন হলে গ্যাসের ৩০ টাকার দামের পরও সার উৎপাদন খরচ আমদানির তুলনায় কম হবে।
দেশে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন ইউরিয়া সার প্রয়োজন, কিন্তু গ্যাসের অভাবে ১৬ থেকে ২১ লাখ টন আমদানি করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দাম ৩০ টাকা হলে ২০ লাখ টন উৎপাদনের ভিত্তিতে প্রতি কেজি ইউরিয়া সার উৎপাদন খরচ হবে প্রায় ৪৬ টাকা, যেখানে আমদানির খরচ ৬১ টাকা।
বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়ার উৎপাদন খরচ ৩৮ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়। বিসিআইসি ডিলারদের কাছে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ফলে প্রতি কেজিতে ১৩ টাকার ভর্তুকি প্রদান করতে হচ্ছে।
কারখানার দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ভিন্ন—ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার ৭২ মিলিয়ন ঘনফুট, শাহজালাল ফার্টিলাইজার ৪১ মিলিয়ন, চট্টগ্রাম ইউরিয়া ৪৩ মিলিয়ন, যমুনা ফার্টিলাইজার ৪১ মিলিয়ন, এবং আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত আশুগঞ্জ কারখানা পুরনো হওয়ায় বেশি গ্যাস খরচ হয়, ফলে বর্তমানে এটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিদেশি মালিকানাধীন কাফকো কারখানার দৈনিক চাহিদা ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট। চুক্তির মাধ্যমে তাদের গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। সম্প্রতি কাফকোর সঙ্গে ৩০ টাকা ইউনিট দরে চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
