

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর ‘উচ্চ বংশীয়’ গরুর মাংস রাজধানীর খিলগাঁওয়ের খলিল গোস্ত বিতানে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের খলিল গোস্ত বিতানে ১২০০ টাকা কেজি দরে গরুগুলো বিক্রি করা হয়।
মাংস কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, সাধারণত কোরবানির সময় এই জাতের গরু কেনা সম্ভব হয় না। তবে এবার কেজি দরে বিক্রি করায় তারা মাংস কেনার সুযোগ পেয়েছেন।
আরেক ক্রেতা বলেন, “গরু, মহিষ ও খাসির মাংস খেয়েছি, কিন্তু ব্রাহমা জাতের মাংস কখনও খাইনি। তাই পরিবারের সবার জন্য স্বাদ নেওয়ার উদ্দেশ্যে নিচ্ছি।”
দর্শনার্থীদের মতে, শিংবিহীন এই গরুগুলোর মাথার ওজনই প্রায় এক মণ এবং কুঁজের অংশে রয়েছে প্রায় ২০-২৫ কেজি মাংস। সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন ধরে মানুষ মাংস কেনার অপেক্ষায় ছিলেন। একজন ক্রেতা বলেন, “সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ১১টায় মাংস পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।”
খলিল গোস্ত বিতানের মালিক খলিলুর রহমান জানান, নিলামের মাধ্যমে তিনি ব্রাহমা জাতের পাঁচটি গরু সংগ্রহ করেছেন। ১১ জন অংশ নিলামে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন দামে গরুগুলো ক্রয় করেন। এরপর জনসমক্ষে মাংস কেটে সাধারণ মানুষের জন্য তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জুলাই মাসে করোনা মহামারির সময় জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে সাদিক অ্যাগ্রো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮টি ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই গরুগুলো আটক হয়। সাদিক অ্যাগ্রো গরু আমদানির জন্য তিনটি জাল নথি জমা দিয়েছিল, যা শুল্ক কর্মকর্তারা শনাক্ত করেন। চলতি বছরের শুরুতে কীভাবে সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই গরুগুলোর মধ্যে ১৫টি আবার সাদিক অ্যাগ্রোর কাছে যায়, তা নিয়েও অনুসন্ধান করছে দুদক।
মন্তব্য করুন
 
                    