রবিবার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের জীবন ঝুঁকিতে:  বাংলাদেশি নাবিক 

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
সংগৃহীত ছবি
expand
সংগৃহীত ছবি

কৃষ্ণসাগরে ২৮ নভেম্বর ইউক্রেনের ড্রোন হামলা থেকে প্রাণে বাঁচলেও এখন নতুন বিপদে পড়ে গেছেন বাংলাদেশের মাহফুজুল ইসলামসহ ১০ নাবিক। হামলার দুই দিন পর ক্ষতিগ্রস্ত তেলবাহী জাহাজটি তীরে টেনে আনার দায়িত্ব পেয়ে উল্টো সেই জাহাজেই আটকা পড়েছেন তারা।

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শনিবার (৬ ডিসেম্বর ) গণমাধ্যমকে মাহফুজুল ইসলাম জানান, ড্রোন হামলায় জাহাজটির ইঞ্জিন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। তুরস্কের উপকূল থেকে ভেসে ভেসে সেটি বুলগেরিয়ার জলসীমায় ঢুকে পড়ে। এ অবস্থায় তাদের উদ্ধারে এখনও কেউ এগিয়ে না আসায় গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নাবিকেরা।

২৮ নভেম্বর তুরস্কের উপকূলে কৃষ্ণসাগর অতিক্রমের সময় ইউক্রেনের নৌবাহিনী রাশিয়ার ‘ছায়া নৌবহরের’ অন্তর্ভুক্ত জ্বালানি তেলবাহী এই জাহাজে হামলা চালায়—এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

জাহাজের ২৫ নাবিকের মধ্যে চারজন ছিলেন বাংলাদেশি। হামলার পর তুরস্কের কোস্টগার্ড সবাইকে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে তিনজন বাংলাদেশি নাবিক—কুষ্টিয়ার আল আমিন, ঢাকার ধামরাইয়ের হাবিবুর রহমান এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের আজগর হোসাইন—দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে জাহাজটি উপকূলে নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে ১০ জন নাবিকের ওপর, তাঁদের মধ্যে মাহফুজুল ইসলামও রয়েছেন।

তিনি জানায়, তুরস্কের কোস্টগার্ডের সাহায্যে জাহাজটি এক দিনে ৩০ নটিক্যাল মাইল টেনে উপকূলের কাছাকাছি আনার পর তারা সরে যায়। কিন্তু ইঞ্জিন অচল থাকায় জাহাজটি নোঙর করা সম্ভব হয়নি। প্রচণ্ড স্রোত ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি ভেসে চলে যায় বুলগেরিয়ার জলসীমায়।

তিনি আরও বলেন, “বুলগেরিয়ায় পৌঁছানোর পর কোস্টগার্ডকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা, খাবারও নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এখন জীবন–মরণ ঝুঁকির মধ্যে আছি।”

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা বুলগেরিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যাতে দ্রুত উদ্ধার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই আবহাওয়ায় অচল জাহাজে থাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X