

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বুধবার ১৫সেনা কর্মকর্তা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন।
ব্রিফিংয়ে ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ওকালতনামা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় আবেদন জমা দিয়েছি। আগামী দিনে এ বিষয়ে শুনানি হবে। এই কর্মকর্তারা অনেক সিনিয়র অফিসার এবং আন্তর্জাতিক বাহিনীতেও কাজ করেছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তারা আজ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেছেন। যারা সত্যিকারের অপরাধ করেছেন, তারা ইতোমধ্যে পাশ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছেন। আমাদের ক্লায়েন্টরা নির্দোষ এবং আশা করি আদালত ভবিষ্যতে তাদের নির্দোষ প্রমাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু তারা পুলিশের মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন, তাই এটিকে ‘প্রসিকিউশন গ্রেপ্তার’ বলা হলেও তারা কখনো গ্রেপ্তার ছিলেন না। শুরু থেকে তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং ট্রায়াল ফেস করতে প্রস্তুত।
আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, সাবেক আইজিপি এবং অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংঘটিত ঘটনার নিয়ন্ত্রণ ওই সময় সরকার কর্তৃক হয়েছিল। ১৫ সেনা কর্মকর্তার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না, কিন্তু তাদের নাম চার্জশিটে এসেছে। তারা তাদের পক্ষে আদালতে প্রতিরক্ষা উপস্থাপন করতে চান।
কারাগারে পাঠানো বিষয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা সেনানিবাসে একটি ভবনকে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের জানা অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের সেখানে নেওয়া হবে।
এর আগে বুধবার গুমের ঘটনায় দু’টি ও একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে পলাতক শেখ হাসিনা, তারেক সিদ্দিকীসহ বাকিদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বাকিরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
কারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তারা হলেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে)।
এছাড়াও কারাগারে যাওয়া অপর সেনা কর্মকর্তারা হলেন- র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
মন্তব্য করুন
