

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অন্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
সকালে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের একটি সবুজ প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। এসময় ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, শুনানি শেষে আদালত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কোন কারাগারে তাদের রাখা হবে, তা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
এদিন ট্রাইব্যুনাল তিনটি মামলার অগ্রগতি পর্যালোচনা করে, যেখানে অভিযুক্ত রয়েছেন মোট ৩২ জন, তাদের মধ্যে বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আছেন ২৫ জন।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হয়।
যেসব সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে)।
এছাড়া র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লে. কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলমের বিরুদ্ধেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক- মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করা ঘিরে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টন ও হাইকোর্ট এলাকা জুড়ে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকেই পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
সব মিলিয়ে রাজধানীর ওই এলাকাগুলোতে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন
