

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অজান্তে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ ও আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়ার পর গ্রাহককে কেটে নেওয়া টাকা ফেরত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানান তারেক শিকদার, যিনি বৈশাখী টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
‘মোবাইল কোম্পানির ডাকাতি অতঃপর টাকা উদ্ধার’ শিরোনামে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি লেখেন, প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যবহার করা তার একটি পুরনো রবি (তৎকালীন একটেল) সিমে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার টাকা কাটা শুরু হয়। কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, তিনি নাকি কোনো অ্যাপ ব্যবহার করেছেন, অথচ সেই অ্যাপের নামও তিনি জানতেন না।
তারেক শিকদারের অভিযোগ, “প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ টাকা করে দিনে দুই-তিনবার টাকা কাটা হচ্ছিল। আমি অনুমতি দিইনি, অথচ তারা বলল অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমি প্রমাণ চাইলে তারা কিছুই দেখাতে পারেনি।”
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে মামলা করার হুমকি দিলে রবি পরে যোগাযোগ করে দুই মাসে কেটে নেওয়া ৬০০ টাকা ফেরত দেয়।
ফেসবুক পোস্টে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রবির কোটি কোটি গ্রাহক আছে দেশে। যদি প্রতিদিন কয়েক টাকা করে সবার কাছ থেকে কেটে নেয়, তাহলে সেটি কোটি টাকার ‘ডিজিটাল ডাকাতি’ ছাড়া আর কী?
অন্যদিকে, রবি আজিয়াটা পিএলসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রাহকের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভ্যাস) চালু করা হয় না। কোম্পানির দাবি, এসব সেবা সক্রিয় করতে গ্রাহকের দুই ধাপে (double consent) অনুমতি নিশ্চিত করা হয়। যদি কোনো গ্রাহক ভুলবশত ভ্যাস সেবা চালু করে ফেলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তা যাচাই করা হয়।
রবি আরও জানায়, “গ্রাহকের সন্তুষ্টি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বিটিআরসি’র নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় এবং প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়।”
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “মোবাইল অপারেটররা ইচ্ছেমতো গ্রাহকদের ঠকাচ্ছে। অনেকেই বুঝতে পারেন না বা প্রতিবাদ করতে ভয় পান। এ দায় বিটিআরসি’র, কারণ তারা অভিযোগ জানার পরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না।”
তিনি আরও বলেন, “এমন ঘটনা নতুন নয়। প্রতিদিন হাজারো গ্রাহক অজান্তে টাকা হারাচ্ছেন। এখন সময় এসেছে বিটিআরসি’র কঠোর নজরদারির, যাতে আর কেউ গ্রাহকের টাকায় ‘ডিজিটাল ডাকাতি’ চালাতে না পারে।”
মন্তব্য করুন