

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হার্ট অ্যাটাক সবসময় হঠাৎ বা নাটকীয়ভাবে দেখা দেয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় তরুণরাও দীর্ঘদিন ধরে চলা সাধারণ সমস্যা-যেমন অ্যাসিডিটি, শরীরে টান লাগা বা অস্বাভাবিক ক্লান্তি-উপেক্ষা করার কারণে ‘নিঃশব্দ হার্ট অ্যাটাক’-এর শিকার হন। এ ধরনের হার্ট অ্যাটাক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ রোগী টের পাওয়ার আগেই হৃদপিণ্ডে গুরুতর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
ভারতের কার্ডিওলজিস্ট ডা. হর্ষল ইঙ্গল জানান, দেশে হার্ট অ্যাটাক অনেক সময় প্রচলিত উপসর্গ ছাড়াও দেখা দেয়। ধূমপান, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। তার মতে, ভারতীয়দের জেনেটিক কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি, আর এখন এটি শুধু প্রবীণদের সমস্যা নয়।
কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ ডা. হরিওম ত্যাগীর মতে, হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা সবসময় বুকে সীমাবদ্ধ থাকে না; অনেক ক্ষেত্রে এটি পিঠ, কাঁধ বা পেটে অনুভূত হয়। অনেকেই একে অ্যাসিডিটি বা মাংসপেশীর ব্যথা ভেবে অবহেলা করেন। তবে যদি ঘাম, মাথা ঘোরা বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ একসঙ্গে দেখা দেয়, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
ডা. চন্দ্র ভানু চন্দন বলেন, নগরজীবন, ধূমপান, দূষণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদরোগের ধরনে পরিবর্তন আসছে। আগে যা শুধু বয়সী মানুষদের মধ্যে দেখা যেত, এখন সেই ঝুঁকি তরুণদের মাঝেও বাড়ছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, জেনেটিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবে জীবনযাপনকে স্বাস্থ্যসম্মত করা সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাবার, নেশা থেকে বিরত থাকা এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হওয়া উপসর্গগুলো অবহেলা করা ঠিক নয়। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই জীবনঘাতী হার্ট অ্যাটাক থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।
মন্তব্য করুন
