

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার অভিযোগে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
সাম্প্রতিক এক বিতর্কিত মন্তব্যের ঘটনায় বিভিন্ন মহল তার শাস্তির দাবি জানায়। পরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদারীপুর থেকে তাকে আটক করা হয় এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবুল সরকারকে রাজনৈতিক নেতাদের প্রশংসাসূচক গান গাইতে। অনুষ্ঠানের ব্যানার অনুযায়ী, সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওটি সে সময় ‘গানের পাখি বিডি’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।
ভিডিওতে শোনা যায়—
ইতিহাসের রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধুর নায়, আয় বাঙালি জলদি কইরা আয়। তোরা আয়, আয়রে আমার শেখ হাসিনার নায়।
এই ভিডিও সামনে আসার পর কেউ কেউ দাবি করছেন, নির্বাচন-পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তাকে গাইতে দেখা গেছে। এসব বিষয়ে সরকারি বা সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনার পর আরেক বাউল শিল্পী হাসিনা সরকার সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, নারী শিল্পীদের প্রতি অনৈতিক চাপ প্রয়োগের মতো পরিস্থিতি বাউল মহলে বিদ্যমান বলে তিনি মনে করেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু শিল্পী নারী শিল্পীদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিনিময়ে অনুষ্ঠানে সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করে থাকে। তবে তিনি কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি।
হাসিনা সরকারের ভাষ্য নারী বাউল শিল্পীরা অনেক সময়ই অস্বস্তিকর প্রস্তাবের মুখে পড়েন। আমাকে ব্যক্তিগত সুবিধার বিনিময়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি।
তার এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বাউল সংগীত অঙ্গনের কোনো প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠী তার অভিযোগের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য প্রকাশ করেনি।
মন্তব্য করুন
