

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, এই (রাকসু) নির্বাচনে হেরে গেলে আমি হয়তো রাজশাহীতেই না বাংলাদেশেও টিকে থাকতে পারতাম না।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ‘আমার জন্য রাকসু মানে ছিলো সার্ভাইভাল জার্নি’ শিরোনামে তার এক ফেইসবুক পোস্টে এই কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই রাকসুটা কার জন্য কি ছিলো জানি না কিন্তু আমার জন্য এটা ছিলো একটা সার্ভাইভাল জার্নি। এই নির্বাচনে হেরে গেলে আমি হয়তো রাজশাহীতেই না বাংলাদেশেও টিকে থাকতে পারতাম না। অনেকেই শুনেছেন আম্মু ঋণ করে দুই ধাপে টাকা পাঠিয়েছিলো আমার নির্বাচনী খরচে।
অনেকে কমেন্টে লিখেছেন- একটা ‘অলাভজনক জায়গায়’ মা কেন বিনিয়োগ করলেন! উত্তরটা সহজ -আমার বেঁচে থাকার বৈধতার জন্য রাকসুর পজিশনটা দরকার ছিলো। এটা শুধু আম্মু না, আল্লাহও বুঝেছেন, বুঝেছে রাবির শিক্ষার্থীরাও।
কিছু বাস্তবতা শেয়ার করি উল্লেখ করে তিনি বলেন,
১. মাসুদ হত্যার অভিযোগ
লীগের একটি গোষ্ঠী আমার হত্যার বৈধতা তৈরি করতে চাইছে এই মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে যে আমি নাকি মাসুদ হত্যার সঙ্গে জড়িত। অথচ আমি মাসুদকে চিনতামই না মৃত্যুর আগে পর্যন্ত।
এই অপপ্রচারে আমার গ্রামের মানুষ, পরিচিতজনরা অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছেন।
২. ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি
আমার ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি উঠেছে অন্তত তিনবার। এবার এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিলো যে, সারাদেশে আমাকে ‘শিক্ষকলাঞ্ছিতকারী’ হিসেবে তুলে ধরা হয়।
কিন্তু ব্যালটের রায় প্রমাণ করেছে রাবিয়ানরা জানে, আমি নির্দোষ। আপনাদের এই রায়ই আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। হেরে গেলে হয়তো লাস্ট সিন্ডিকেটে বসেই আমার ক্যাম্পাস জীবন শেষ হয়ে যেতো।
৩. চাঁদাবাজির অভিযোগ
যে দুইজন আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছিলো, একটা প্রোপোজাল লেটারকে যেভাবে চাদাবাজি হিসেবে উপস্থাপন করে গোটা দেশে আমাকে চাঁদাবাজ বানিয়েছিলো তারা দুজনই এই রাকসু নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো জিএস পদে। আমি আল্লাহর কাছে চেয়েছিলাম, যেন এই অপবাদের জবাবটা তিনিই দেন আর সেই জবাব দিয়েছেন আপনাদের ভোটের মাধ্যমে।
তিনি তার মা-কে আনপ্রেডিক্টেবল পলিটিশিয়ান উল্লেখ করে বলেন, আমার মা আমার জীবনের সবচেয়ে সাহসী, আনপ্রেডিক্টেবল পলিটিশিয়ান। তিনি বুঝেছিলেন আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই নির্বাচনে আমাকে জেতাতেই হবে।
ভাবুন তো আমি যদি হেরে যেতাম আজ কতজনই বা আমাকে মনে রাখতো?
চুপচাপ, নীরবে আমাকে প্রস্থান করতে হতো। আম্মু শুধু তার সন্তানের নিরাপত্তা চাননি,চেয়েছেন তার সন্তানের সম্মান ফিরে আসুক। আজ আমি সেই সম্মানের প্রতীক হয়ে বেঁচে আছি রাবিয়ানদের ভালোবাসা ও ভোটের কারণে।
কনসার্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরো হিসাব আমার কাছে আছে, খুব দ্রুত প্রকাশ করবো। তবে এখনো মামলা দায়ের করতে পারিনি রাকসুর ব্যস্ততার কারণে।
মামলা করার পর হিসাব তিনভাবে হবে -যদি তারা ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানায়; যদি শুধু আমাদের দেওয়া ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়; যদি পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে সেই অনুযায়ী হিসাব প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন