মঙ্গলবার
১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকুরী বহাল রাখার দাবিতে মানবন্ধন 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন
expand
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন

ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করে যাওয়া ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় চার হাজার লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডারকে নবগঠিত বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সারাদেশ থেকে আগত লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডাররা। পরে তারা একই দাবিতে ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্মারকলিপি দিতে যান।

মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেন বলেন, “২০১৯ সালে সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪ হাজার ২০০ জন লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, স্থানীয় খামারিদের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারী ক্ষমতায়ন এবং গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নই ছিল এই প্রকল্পের লক্ষ্য।”

তিনি আরও জানান, প্রকল্পটির আওতায় সারাদেশে ৬ হাজার ৫০০টি উৎপাদনকারী দল গঠন করা হয়েছে, যেখানে ৪০ শতাংশ পুরুষ এবং ৬০ শতাংশ নারী সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন।

বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাই বর্তমান প্রকল্পে কর্মরতদের বেকারত্বে না ফেলে নতুন বোর্ডের আওতায় এনে ইউনিয়নভিত্তিক স্থায়ী করার দাবি জানান তারা।

শরীফ হোসেন বলেন, “এই প্রকল্পটি আগামী মার্চ মাসে শেষ হয়ে যাবে। তাই আমরা প্রধান উপদেষ্টা, প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের কাছে একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছি। শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবিগুলো উপস্থাপন করলেও এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।”

তিনি আরও জানান, সাবেক মহাপরিচালক মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে একটি আদেশ কপি ফরওয়ার্ডিং করলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

প্রশিক্ষিত এই লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডাররা জানিয়েছেন, প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার কারণে অনেকেই সরকারি চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন এবং অনেকের অন্য প্রকল্পে যোগদানের বয়সসীমাও পেরিয়ে গেছে।

তাদের মতে, নতুন ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডে এলএসপিদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে বোর্ড যেমন প্রশিক্ষিত জনবল পাবে, তেমনি কর্মীরা চাকরি হারানোর অনিশ্চয়তা থেকেও মুক্তি পাবেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন