

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কাজ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে মারধর করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি কেবল ধাক্কাধাক্কির ছিল।
এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কয়েকজন কর্মী আওয়ামী লীগের ‘ট্যাগ’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তাদের হামলায় তিনজন আহত হন।
আহতদের দাবি, কয়েকজন বিএনপি কর্মী এসে আওয়ামী লীগের ট্যাগ দেওয়ার অভিযোগ তুলে গালিগালাজ শুরু করে। পরে একপর্যায়ে তারা অফিসে ভাঙচুর ও কর্মকর্তাকে মারধর করে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িত। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের নিয়ে আমরা অফিসে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন।
গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মামুন চৌধুরী বলেন, “ঘটনাটি গুরুতর নয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। অফিসের কাচের জানালা ভাঙা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, “সরকারি অফিস ভাঙচুর ও কর্মকর্তা মারধরের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।”
জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “সরকারি অফিসে ভাঙচুরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদি নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে লিখিতভাবে জানানো উচিত ছিল। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন