টাঙ্গাইল সদরে এমপি মনোনয়নের জরিপে এগিয়ে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে চলছে প্রচার প্রচারণা। দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ-ঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন এবং ব্যক্তি পর্যায়ের অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশিরা।

এলাকার বিভিন্ন জরিপে উঠে আসছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নাম। আমাদের টাঙ্গাইল সামাজিক সংগঠনের এক অনলাইন জরিপে দেখা যায়, মনোনয়নের জরিপে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫১% সমর্থন রয়েছে টুকুর পক্ষে।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রদল সভাপতি নির্বাচিত হন, ১৯৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য নির্বাচিত হন একই সালে হল সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এবং একই সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৯৮ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ১নং সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০০০ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন,২০০২ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির ১নং সদস্য হন,এর পূর্বে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ বরিশাল বিভাগীয় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির টিম লিডার হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন এবং সুখ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের প্রভাবশালী সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক হন। ২০০৫ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি পুনরায় নির্বাচিত হন।

২০০৯ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তুমুল জনপ্রিয়তা লাভের মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ২০১০ সালে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দলকে সুসংগঠিত করার অভিপ্রায়ে ২০১৭ সালে দায়িত্ব পান যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।

২০২২ সালে একই সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আবারো সারা বাংলাদেশের যুব সংগঠনকে অধিক শক্তিশালী অবস্থায় রূপান্তরিত করে ফ্যাসিবাদের বিদায়ের আন্দোলনকে আরো দৃঢ় ও ত্বরান্বিত করে তোলেন।

বিগত দিনের সফলতার পুরস্কার হিসেবে ২০২৪ সালে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ছাত্রদল থেকে উঠে আসা যুবদলের নেতৃত্ব থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির অন্যতম নেতৃত্ব স্থানীয় অবস্থানের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল-৫(সদর)আসনের সাধারণ ভোটারদের দোরগোড়ায় পৌঁছে তাদের আস্থার জায়গা হিসেবে নিজেকে সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছেন এবং একজন জাতীয় নেতাকে জনগণ তাদের সেবক হিসেবে পেলে টাংগাইল সদর উন্নয়নের মডেল হবে এরকম বিশ্বাস জনগণের মনের মনিকোঠায় গেঁথে গিয়েছে।

হালের রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনে যে দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয় জাতীয় পর্যায়ে সে দলই সরকার গঠন করে।বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে এ চিত্র ফুটে ওঠেছে। এজন্য সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মত একজন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিকে সেবক মনে করে বিজয়ের মালা তার গলাতেই গাঁথবে এরকম আশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মী এবং ভোটারগণ।

বর্তমানে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেনা।কিন্তু তাদের যথেষ্ঠ সংখ্যক কর্মী-সমর্থক রয়েছে।বিএনপির বিশাল জোয়ারের মাঝেও জাতীয় পার্টিরও কিছু সংখ্যক ভোট রয়েছে।

শিক্ষিত ভোটারদের একটা অংশ বলেন, বিশেষ কিছু জায়গায় শুধুমাত্র নিজের আসনকে সংগঠিত করতে কাজ করেছে সেইজন্য বিএনপি যদি সারা বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করা,পুরো দলকে সু-সংগঠিত রাখা,নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে ও জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিএনপি পরিবারের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকা কোন ত্যাগী,নিবেদিত ও জনপ্রিয় প্রার্থীকে দূরে রাখে বা বাছাইয়ে ভুল বা আবেগী সিদ্ধান্ত নেয়;তাহলে দলকে খেসারত দিতে হতে পারে।

তারা আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিঃসন্দেহে একজন চৌকস রাজনীতিবিদ,তিনি টুকুর মতো নেতাকেই টাঙ্গাইল সদরের মতো প্রতারিত হওয়া এবং পিছিয়ে থাকা একটা আসনের কাণ্ডারী হিসেবে মনোনীত করবেন।