

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেনায়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় তার বেতন স্কেল নিম্নতর (ডিমোশন) করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা রুজু করে তদন্ত সম্পন্ন করা হয় এবং তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
তবে হেনায়ারা বেগম নবীন কর্মকর্তা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে লঘুদণ্ড হিসেবে বেতন স্কেল নিম্নতর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুরে যোগদানের পর থেকেই হেনায়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তিনি নানা অজুহাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করতেন এবং চাহিদা পূরণ না হলে তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতেন।
এক পর্যায়ে ঘুষ দাবি সংক্রান্ত তার কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ না দেওয়ায় তিনি এক শিক্ষকের দিকে গ্লাস নিক্ষেপ করেছিলেন।
নাজিরপুরের বর্তমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাকিম বলেন,“সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা হেনায়ারা বেগম অফিসের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়েই বদলিকৃত কর্মস্থলে চলে যান। পরে পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় আনুষ্ঠানিকভাবে আমি দায়িত্ব বুঝে নিই।”
এ বিষয়ে জানতে সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা হেনায়ারা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন