

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভাইফোঁটা হলে বোনফোঁটা কেন নয়—প্রতি বছর এই প্রশ্নটি ভেসে ওঠে। তবে টলিপাড়ার অভিনেত্রী এনা সাহা এই বিষয়ে খুব একটা ভাবিত নন। তিনি বলেন,
ভাইফোঁটা তো কী হয়েছে? এতগুলো বোন থাকতে কিসের অভাব?
পরিবারের মধ্যে ভাইফোঁটা ও বোনফোঁটার উদযাপন
এনার তিন বোন। ভাইফোঁটায় পুরো পরিবার একত্র হয়। বোনেরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দেন এবং সেই সঙ্গে পরিবারের এক তুতো বোনকেও ফোঁটা দেওয়ার প্রথা রয়েছে।
এনা জানান, ও মেয়ে হয়েই জন্মেছে। কিন্তু ও নিজের যৌন পরিচিতিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছে। নারীসুলভ সত্তা ওর নেই। ও নিজেকে ছেলে বলেই মানে। তাই আমরা সবাই ওকে ফোঁটা দেই।
এনার তুতো বোন হলেন তাঁর মামার কন্যা। যদিও নিজের যৌন পরিচিতি অন্যভাবে আবিষ্কার করেছেন, তবে রূপান্তরের কোনো চিন্তা এখনো নেই।
এনা বলেন, ও এখনও ছোট, মাত্র ২১ বছর বয়স। আমরা ওর ভাবনাকে উৎসাহ দেই। এই বয়সে নানা ধরনের ভাবনা মাথায় আসে—শরীর এক, মন অন্য। তাই আমরা ওর জীবনদর্শনকে সমর্থন করি।
রাখি হোক বা ভাইফোঁটা—বোনেরা সব সময় একসঙ্গে থাকেন। এনা বলেন, বছরের প্রতিটি দিন একসঙ্গে থাকা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ দিন নয়, প্রতিদিনই আমরা একে অপরের পাশে থাকি।”
পাঁচ বোনের মধ্যে একটি বিশেষ নিয়মও রয়েছে।
এনা বলেন, জীবনে কোনো পছন্দের মানুষ এলে সবার আগে বাকি বোনদের জানাতে হবে। একই পুরুষকে দুই বোন পছন্দ করলে, সবারই সরে আসা উচিত। পুরুষদের নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হয় না।
দুই বোন থাকলেই সমাজের নানা প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ আসে—কে বেশি সুন্দরী, কে বেশি গুণী। তবে এনা ও তাঁর বোনেরা এসবকে উপেক্ষা করেন।
আমাদের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। আমরা সব সময়ে একে অপরের পাশে। আমাদের তুতো ভাই থাকলেও কখনও ভাইয়ের অভাব বোধ করিনি। কোনো ঝগড়া হলে, বয়সে বড় হিসেবে আমি সব মিটিয়ে দিই।
এইবারের ভাইফোঁটার জন্য কোনও বড় পরিকল্পনা নেই। পরিবারে শীঘ্রই বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। এনার পরিবার ইতিমধ্যেই মামার বড় মেয়ের বাগদান পর্ব সম্পন্ন করেছে। ভাইফোঁটার আগের রাতে পাঁচ বোন মিলে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা ‘থামা’ দেখেছেন।
এনার কথায়, পারিবারিক বন্ধন ও একে অপরের প্রতি সমর্থনই তাদের জীবনের মূল উৎস।
মন্তব্য করুন
