

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রেমের সুত্র ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর চরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর সে ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ২ যুবক কে গ্রেপ্তার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলা দায়েরের পরও বিভিন্ন মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যা নিয়ন্ত্রনের চেষ্ট চলছে বলে দাবী পুলিশের।
ঘটনাটি চলতি বছরের এপ্রিলে হলেও চলতি মাসে ভিডিওগুলো সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করা হয়। এ নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের লুৎফর রহমানের ছেলে ইমন আলী ও একই এলাকার মো. মুকিমের ছেলে মো. ইয়ন আলী।
ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দিলেও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১০ নভেম্বর এ নিয়ে ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয় শিবগঞ্জ থানায়। তবে রোববার দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ধর্ষণের ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান। তিনি মামলার উদৃতি দিয়ে বলেন, ভুক্তোভোগী মেয়েটি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা। শিবগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ঐ শিক্ষার্থীর সঙ্গে আসামি নয়নের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে শিক্ষার্থীকে নৌকায় করে পদ্মার চরে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয় গত এপ্রিল মাসে ।
প্রথমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার আইনের আশ্রয় না নিয়ে ঘটনাটি চেপে যান। পরর্বর্তীতে চলতি মাসের ১০ তারিখে মামলা দায়ের করলে ওইদিনই ইমন ও নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
এসএম শাকিল হাসান আরও বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তার দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এবং তিন আসামির দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, ভুক্তোভোগী পরিবার ঘটনাটি প্রথমে চেপে যাওয়ায় মামলা দায়েরের আগেই ভিডিওটি ছড়িয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এখন শত শত আইডি থেকে ভিডিওটি ছড়াচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য কাষ্টসাধ্য। তবে এরই মধ্যে আমাদের সাইবার টিম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ভিডিওটি ছড়ানোরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও করা হয়েছে।পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগী ন্যয়বিচার পাবেন বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন