

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কয়েক দিন থেকে মেহেরপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিনের চেয়ে রাতে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। তীব্র হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জেলার মানুষের জীবনযাত্রা।
সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে আকাশ। দুপুর পর্যন্ত মিলছে না সূর্যের দেখা। সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘন কুয়াশা ও বেড়ে চলছে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
এছাড়া ঘন কুয়াশা ২০০ মিটার দৃষ্টি সিমা বলেও জানা তারা। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশা থাকায় রিক্সা ভ্যান অটো চালকরা সকাল থেকে সড়কে বের হলেও যাত্রী না পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
অন্যদিকে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় মাঠ ঘাটে কাজ না পেয়ে বেশির ভাগ শ্রমিকরা ফিরে যাচ্ছেন।
জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই জবুথুবু হয়ে কর্মে বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।
শীতের সাথে ঘন কুয়াশায় সড়ক গুলোতে যানবাহনে চাপও কম। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টায় বেশীর ভাগ খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা। কাজ না থাকায় আর্থিক সংকটে পরেছেন শহরে কাজের সন্ধানে আসা দিনমজুররা। পর্যাপ্ত গরম কাপুরের অভাবে বেশী বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
রিক্সা, ইজিবাইক চালকরাও কষ্টের মধ্যে পার করছেন দিন। সারা দিন গাড়ি চালিয়ে বাজার খরচ না হওয়ায় স্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও পর্যাপ্ত না। এখন পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন দানশীল ব্যাক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা মেলেনি। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক অফিস বলছেন মৃদু শৈত্য প্রবাহ আরো দুই দিন থাকবে।
কয়েকজন শ্রমজীবী সাধারন মানুষ এনপিবি নিউজ কে জানান,শীতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় বেশী শীত অনুভূত হচ্ছে। শৈত্য প্রবাহ শুরু থেকে কােন কাজ নেই। শীতের মধ্যে খুব কষ্ট হচ্ছে। সরকারি বা ব্যাক্তিগত ভাবে এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে গরম কাপড় না পাওয়ার কথা বলেন তারা।
সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসা রফিকুল ইসলাম এনপিবি নিউজকে বলেন, দুই দিন ধরে কাজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। আজকেও এখন পর্যন্ত কাজের জন্য কেউ ডাকেনি। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারনে মাঠে কোন কাজ নেই।
এই শীতে কাজ করতে খুব কষ্ট তবুও পেটের দায়ে কাজে আসতে হচ্ছে। শীত আমাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে আসে। এই সময় কাজ না থাকায় পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দেওয়াটা কষ্টের হয়ে পড়ে।
এই মুহূর্তে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যে পরামর্শ দিচ্ছেন। শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে, তাই শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিন। কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানোর সময় সাবধানে এবং ধীরগতিতে চালানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
