বৃহস্পতিবার
২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমালোচনার মুখে সেই নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ পিএম আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার
expand
নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার

বিভিন্ন অনিয়ম, তদবির ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে আলোচনায় থাকা খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাকে চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) হিসেবে পদায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুল ইসলাম।জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তাছলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে তদবিরের মাধ্যমে পদায়ন, সরকারি বাসা সংস্কারের নামে অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন এবং জেলা পরিষদের ভাড়া করা গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।

গত ৭ জুলাই এসব বিষয়াদি উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন জেলা পরিষদের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, যোগদানের পরই তিনি পরিষদের সচিবের জন্য নির্ধারিত ‘কনডেমড’ সরকারি বাসাটি ৫ হাজার টাকায় বরাদ্দ নিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং বাসাটি মেরামতের জন্য ৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর বাসার নামে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।এছাড়া বাসায় দোলনা স্থাপনের জন্য উন্নয়ন খাত থেকে আরও ১ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেন। কনডেমড ভবনে এমন ঘটনা নিয়মবহির্ভূত।

এছাড়া অভিযোগে বলা হয়, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি জিপ অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হওয়ার পর ভাড়া করা যান বিধি অনুযায়ী একজন নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দ না থাকলেও তাছলিমা আক্তার তা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। বাজার করা, পারিবারিক ভ্রমণ, মেয়ের স্কুলে যাতায়াত, স্বামীর কর্মস্থলে আনা-নেওয়া, আত্মীয়স্বজনের প্রয়োজনীয় জিনিস পরিবহনসহ নানান ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গাড়িটি ব্যবহৃত হয়েছে এমন অভিযোগও তদন্তে ওঠে আসে। অভিযোগকারীরা দাবি করেন, তিনি যোগদানের পর কোনো উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন না করায় পরিষদের নিয়মিত কাজ ব্যাহত হচ্ছিল।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখা খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছিল।

সর্বশেষ জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাছলিমা আক্তারকে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে সরিয়ে চুয়াডাঙ্গায় এডিসি হিসেবে বদলি করা হয়। একই আদেশে আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত জামিল সৈকতকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে চট্টগ্রামে পদায়ন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন