

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে এনজিও গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের মূলহোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। বুধবার (১৯ নভেম্বর) গণমাধ্যমে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন সকালে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তনুকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে এ ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিওতে (রেজি. নং- রাজ-৩৭০) অনেক সদস্য সঞ্চয় জমা দান, মাসিক ডিপিএস, এককালীন ঋণ গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেন। অনেকে আলাদাভাবেও এককালীন আমানত হিসাবে অর্থ জমা করেন। প্রতি মাসে ০১ লক্ষ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ পেতেন গ্রাহকরা। প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায়শই অর্থ উত্তোলন, জমা প্রদানসহ আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হতো। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এ হারে লভ্যাংশ প্রদান করা হতো। পরবর্তীতে বিষয়টি পরিচালকরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করলে সাধারণ মানুষ ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ এ গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের বেশিরভাগই ছিল দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
আরও জানা যায়, ২০২৪ সালের আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ হতে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
সিআইডি বলছে, পরবর্তীতে গত বছরের নভেম্বর মাসে পুনরায় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ অফিসে উপস্থিত হয়ে বাদীসহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপন করতে থাকে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কোন প্রকার অর্থ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে অফিস থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী একজন বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত ৮০০’র অধিক ভুক্তভোগী প্রায় ৬০০ কোটির অধিক টাকা প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন