

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


‘এই দেশে শিক্ষা না, আমলকি দরকার! কারণ আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।’—সহকারী শিক্ষক সৌরভেন্দু ভট্টাচার্য্য বিপ্লবের এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শিক্ষার মতো গুরুতর বিষয়কে আমলকির সঙ্গে তুলনা করে শিক্ষাকে অবমাননার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি, একজন শিক্ষক হয়ে এমন মন্তব্য শিক্ষার মান, শিক্ষকতার নৈতিকতা ও পেশাগত মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
জানা গেছে, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মাঝিশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৌরভেন্দু ভট্টাচার্য্য বিপ্লব তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ মন্তব্য করেন। পোস্টটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা।
অভিভাবকরদের অভিযোগ, শিক্ষকের এমন বক্তব্য সমাজে ভুল বার্তা ছড়ায় এবং শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী পোস্ট করা যাবে—এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। ইচ্ছামতো যেকোনো মন্তব্য প্রকাশ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও মনে করছেন সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে মাস্টার প্রশিক্ষক বলেন, তিনি নিজে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তিনি নিজে শিক্ষা পেশায় থেকে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমলকীর সাথে তুলনা করতে পারেনা।এতে সরকারী চাকরি জীবী হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ কবির হোসেন বলেন, এরকম বক্তব্য উপস্থাপন ও তুলনা করা যাবেনা।
মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম জাকিরুল হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যহারের একটা নীতিমালা আছে এবং উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় একটা মনিটরিং টিম আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ বিতর্কিত বা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো পোস্ট দিলে তা ঐ কমিটির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
