

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


স্বর্ণ পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজশে ভুয়া মামলা সাজানোর অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যানারে মুক্তমঞ্চে আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ তোলা হয়।
গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, ওসি মামুন বিশ্বাস থানায় যোগদানের পর থেকেই নানা বিতর্কিত ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। সর্বশেষ ২ নভেম্বর গোয়ালপাড়ায় ‘স্বর্ণ ছিনতাইয়ের’ একটি নাটকীয় ঘটনা সাজানো হয়। ঘটনার ৮ দিন পর ১০ নভেম্বর ঢাকার তাঁতিবাজারের ‘মা বুলিয়ন স্টোর অ্যান্ড সিলভার সেলস’-এর মালিক আকিদুল ইসলাম জীবননগর থানায় একটি মামলা করেন।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, তার কর্মচারী শাহাজামালের কাছ থেকে জীবননগরের ‘এসবি জুয়েলার্স’-এর মালিক সজীবের দোকানে স্বর্ণ পাঠানো হলে তা ছিনতাই হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, অভিযোগে উল্লিখিত ছিনতাইয়ের স্থান দোকান থেকে প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে সীমান্তঘেঁষা এলাকায়। ফলে প্রশ্ন উঠেছে- স্বর্ণ বহনকারী শাহাজামাল সেখানে গেলেন কেন? তাছাড়া, ঘটনাটির ৮ দিন পর মামলা দায়ের করাও সন্দেহজনক বলে মনে করছেন গ্রামবাসী।
তাদের অভিযোগ, মামলার সাক্ষী করা হয়েছে শাহাজামালের ছেলে মুরাদ ও নাতি সিফাতকে- যারা একই পরিবারের সদস্য। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, এটি পরিকল্পিত একটি ফাঁদ। স্থানীয়দের দাবি, ওসি মামুন বিশ্বাস ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী চক্র একযোগে নির্দোষ মানুষকে ফাঁসিয়ে স্বর্ণ আত্মসাৎ করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, 'বাদী আকিদুল, এসবি জুয়েলার্সের মালিক সজীব, সাক্ষী শাহাজামাল ও মুরাদ- সবাই স্বর্ণ চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত। ওসি মামুন তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন।'
তারা দাবি করেন, ঘটনার প্রকৃত সত্য জানতে সংশ্লিষ্টদের মোবাইল কললিস্ট, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার যোগাযোগ যাচাই করা হোক। পাশাপাশি মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের মোবাইল লোকেশন পরীক্ষা করলে আসল সত্য উদঘাটিত হবে। বক্তারা সুষ্ঠু তদন্ত ও নির্দোষ ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
মন্তব্য করুন