

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় ফাজিল স্নাতক (অনার্স) পরীক্ষায় প্রকাশ্যে নকলের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের এক দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র স্থগিত করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তন করে অন্য মাদরাসায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ বরাবর এ-সংক্রান্ত নোটিশ পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস।
নোটিশে বলা হয়েছে, ফাজিল স্নাতক (অনার্স) পরীক্ষা–২০২৪ নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে আয়োজন করতে ব্যর্থ হওয়ায় পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্র আপাতত স্থগিত করা হলো। এ কেন্দ্রের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য বাকি পরীক্ষাগুলো কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও নির্দেশ দিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের অলিখিত উত্তরপত্র, পরীক্ষা–সংক্রান্ত নথি, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কেন্দ্রে হস্তান্তর করতে হবে। পাশাপাশি পরীক্ষার হলে প্রকাশ্যে বই দেখে উত্তর লেখার অভিযোগের বিষয়ে সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন গণমাধ্যমে পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষকের উপস্থিতিতেই বই-খাতা খুলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। ঘটনার পরপরই সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ই-মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আজ রাতের মধ্যেই সব নথিপত্র বুঝে নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
