

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাতিজার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর জমি দখল, হত্যার হুমকি এবং মিথ্যা মামলায় পুলিশি হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভাড়াপূষা গ্রামে গিয়ে এই প্রতিবেদকের কাছে ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেকড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক বারী ও তার ভাতিজা সোহেল রানা গ্রামের বৃদ্ধ মোকসেদ আলীর ৫০২ নং দাগের ২১৩ নং খতিয়ানের আবাদি জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন। জমি দখলে বাধা দিলে খুন করে লাশ গুম করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
জানা যায়, জমি দখলের পর অভিযুক্তরা নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশি হয়রানি ও প্রাণনাশের আশঙ্কায় জমির মালিকের ছেলে মিজানুর রহমান বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
নাগরপুর থানার এএসআই নাসির উদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, সোহেল রানা একটি অভিযোগ দায়ের করলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় গ্রামবাসী তোফাজ্জল হাজী বলেন, জমিটি দীর্ঘদিন ধরে মোকসেদ আলী আবাদ করে আসছেন। হঠাৎ করে এখন বলা হচ্ছে জমিটি নাকি কেনা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক বারী বলেন, আমার ভাতিজা টাকার বিনিময়ে জমিটি কিনেছেন। কিন্তু মোকসেদ আলী রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছেন না।
সোহেল রানা দাবি করেন, মোকসেদ আলীর সঙ্গে কথা বলে জমির মূল্য ১১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত ১২ ডিসেম্বর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তিনি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকি টাকা রেজিস্ট্রির সময় দেওয়ার কথা ছিল। জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন এবং পরে জমিটি দখলে নেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জমির মালিক মোকসেদ আলী বলেন, আমি কখনো জমি বিক্রি করিনি, কোনো টাকাও নেইনি। তারা প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। জোর করে জমি দখল করে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা তাকে ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় গ্রামবাসী জাহাঙ্গীর আলম ও কয়েস উদ্দিন জানান, জমিটি দীর্ঘদিন ধরে মোকসেদ আলীর দখলেই ছিল এবং ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
