

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


তিনি জানান, হামলার পর তার খালা হিজাব পরে সাবওয়ে দিয়ে যাতায়াতে ভয় পেতেন। এই মন্তব্যের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন। — সূত্র: এনডিটিভি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভ্যান্স লিখেছেন, মামদানি দাবি করেছেন, ৯/১১ হামলার আসল ভুক্তভোগী ছিলেন তার আত্মীয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেউ তার দিকে তির্যকভাবে তাকিয়েছিল।
এর আগে, জোহরান মামদানি নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীর করা ‘বর্ণবাদী ও ভিত্তিহীন আক্রমণ’-এর জবাব দিতে গিয়ে এক আবেগঘন ভাষণ দেন।
গত শুক্রবার ব্রঙ্কসের একটি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষ ঘৃণার রাজনীতি সামনে আনছে।
তার ভাষায়, “এই ইসলামভীতি কেবল আমাকে নয়, নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ মুসলিমকেও আঘাত করছে।”
নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দেওয়া এই বক্তব্যে মামদানি আরও বলেন, নিউইয়র্কে মুসলিম পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকা মানে প্রায়ই অসম্মান ও অবমূল্যায়ন সহ্য করা। তবে এই অবমাননা শুধু আমাদের নয়, অনেক নিউইয়র্কবাসীর প্রতিদিনের বাস্তবতা। পার্থক্যটা কেবল, আমরা কতটা সহ্য করি।
বর্তমানে নিউইয়র্ক রাজ্য আইনসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মামদানি বলেন, তার মূল রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো ও সাধারণ মানুষের সুবিধা নিশ্চিত করা।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো দেখাচ্ছে, “ইসলামভীতি এখন কিছু মানুষের রাজনৈতিক ঐক্যের জায়গা হয়ে উঠেছে।”
এই বক্তব্যটি তিনি দেন একদিন পর, যখন রেডিও সঞ্চালক সিড রোজেনবার্গ এক অনুষ্ঠানে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর উদ্দেশে বলেন, “যদি আরেকটি ৯/১১ হামলা হয়, জোহরান মামদানি আনন্দ প্রকাশ করবেন।” কুমো সেই কথায় হাসেন, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
বর্তমান জরিপ অনুযায়ী, আগাম ভোটে জোহরান মামদানি তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় এগিয়ে আছেন। তার নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে— সবার জন্য বিনামূল্যে গণপরিবহন, শিশু যত্নসেবা (চাইল্ড কেয়ার) সম্প্রসারণ এবং প্রায় ১০ লাখ নিউইয়র্কবাসীর বাড়িভাড়া মওকুফের প্রতিশ্রুতি।
এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামলার কড়া সমালোচক হিসেবেও তিনি আলোচনায় আছেন।
মন্তব্য করুন
