

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট পেত্রো মাদক কার্টেলগুলোকে বিকশিত হতে দিয়েছেন এবং এ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন: প্রেসিডেন্ট পেত্রো মাদক চোরাচালান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। কোকেন উৎপাদন কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য একটি গুরুতর হুমকি।”
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে কলম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্মান্দো বেনেদেত্তি, প্রেসিডেন্ট পেত্রোর স্ত্রী এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্ভাব্য সম্পদ জব্দ করা হবে এবং দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পূর্বে কলম্বিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার অন ড্রাগস’ অভিযানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। প্রতি বছর দেশটি শত শত মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পেত। কিন্তু সাবেক গেরিলা যোদ্ধা পেত্রো ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক জটিল হয়ে গেছে।
বেসেন্ট আরও বলেন, “আমরা দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার কোনোভাবেই সহ্য করব না। কলম্বিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোকেন রপ্তানিকারক দেশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুতর হুমকি।”
শুক্রবার এক পৃথক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার অ্যান্টি-নারকোটিক্স কার্যক্রমের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করছে।
তবে প্রেসিডেন্ট পেত্রো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন: আমি দশকজুড়ে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং যুক্তরাষ্ট্রকে কোকেন ব্যবহারের হার কমাতে সাহায্য করেছি। এই অভিযোগ একেবারেই ভুল। আমরা এক ইঞ্চিও পিছু হটব না।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন সামরিক বাহিনী দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম জোরদার করেছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় একাধিক জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে, যেগুলোকে তারা মাদক বহনকারী দাবি করেছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ প্রকাশ করা হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়াকে দেওয়া সব ধরনের অর্থ সহায়তা ও ভর্তুকি স্থগিত করবে। এই পদক্ষেপ এসেছে সেপ্টেম্বরে পেত্রোর বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারের পর, যেখানে তিনি মার্কিন বাহিনীর কার্যক্রমকে সৈরাচারের কাজ বলে অভিহিত করেন এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন।
মন্তব্য করুন
