

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এশিয়া সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সপ্তাহে তিনি মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর করবেন। সফর চলাকালীন দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
স্থানীয় সময় বুধবার (২২ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই সফরসূচি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “পরের সপ্তাহে আমি মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে যাচ্ছি। দক্ষিণ কোরিয়ায় আমি প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে দেখা করব। আমরা আমাদের পারস্পরিক প্রশ্ন, উদ্বেগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করব।”
খবর এনডিটিভি জানায়, এই সফরকে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মোড়’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের মতে, এই বৈঠক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, “আমি আশাবাদী যে শি জিনপিং পুতিনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেন এবং যুদ্ধবিরতির জন্য তাকে উৎসাহিত করবেন। তিনি একজন সম্মানিত ও প্রভাবশালী নেতা। আমার বিশ্বাস, তার অনুরোধে পুতিনের অবস্থান বদলাতে পারে।”
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন ট্রাম্প। ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোর অনমনীয় অবস্থানের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই মুহূর্তে বৈঠক ঠিক মনে হয়নি। আমি ব্যর্থ কোনো বৈঠক করতে চাই না।”
এছাড়া ট্রাম্পের সফরে জ্বালানি ও তেল খাত নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি শি’র সঙ্গে এনার্জি ও অয়েল নিয়ে আলোচনা করব। লক্ষ্য একটাই— কীভাবে আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান করতে পারি, সেটা জ্বালানি বা অর্থনৈতিক যে পথেই হোক।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তিনি এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বাড়িয়ে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে চান।
উল্লেখ্য, এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প-শি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সফরের অংশ হিসেবে ট্রাম্প মালয়েশিয়া ও জাপানেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, যেখানে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও জলবায়ু সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
