বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৩ বছর অপেক্ষায় থাকা প্রেমিকাকেই বিয়ে করলেন ফিলিস্তিনি

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৪ পিএম আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
ছবি সংগৃহীত
expand
ছবি সংগৃহীত

দীর্ঘ বন্দিজীবন শেষে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে অবশেষে পুরোনো প্রেমকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করলেন এক ফিলিস্তিনি নাগরিক। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই গল্পটি এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় যেসব ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন, তাদের একজন হলেন আকরাম আবু বকর। দখলদার ইসরায়েল তার বিরুদ্ধে তিনটি যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছিল। দীর্ঘ সময় বন্দি থাকার পর অবশেষে তিনি মুক্তি পান এবং মিশরের কায়রো শহরে নির্বাসনে যান।

বিস্ময়কর ভালোবাসার গল্প

আকরাম আবু বকর মুক্তি পাওয়ার পর একটি ছোট ঘরোয়া আয়োজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সেই নারীসঙ্গীর সঙ্গে, যাকে তিনি ২৩ বছর আগে তালাক দিয়েছিলেন।

তবে বিষয়টি এমন নয় যে তিনি সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিলেন বিরূপ কারণে। বরং, এক অসীম ভালোবাসা থেকেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন—তাকে আজীবন এক বন্দির স্ত্রী হিসেবে দুঃখ-কষ্টে না কাটাতে হয়, সেই চিন্তা থেকে।

কিন্তু সেই নারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অপেক্ষা করার। তিনি ২৩ বছর ধরে স্বামীর মুক্তির আশায় পথ চেয়ে থেকেছেন, কখনো অন্য সম্পর্কে জড়াননি। শেষ পর্যন্ত আকরাম মুক্তি পাওয়ার পর কায়রোতে গিয়ে তিনি নিজেই স্বাগত জানান প্রিয় মানুষটিকে।

কারাগার থেকে কায়রোতে প্রেমের পুনর্জন্ম

৫০ বছর বয়সী আকরাম আবু বকর, ফিলিস্তিনের তুলকারেম এলাকার বাসিন্দা। বন্দি জীবন শেষে মিশরে পৌঁছে পুরোনো প্রিয় মানুষটিকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, আবার তাকে বিয়ে করবেন।

এটি ছিল শুধু একটি বিয়ের আয়োজন নয়, বরং ফিরে পাওয়া, ক্ষমা, অপেক্ষা ও অটল ভালোবাসার এক অনন্য গল্প।

এই পুনর্মিলনের গল্পটি ছড়িয়ে পড়ে যুদ্ধবিরতির দিনেই, যেদিন ইসরায়েলের কারাগার থেকে ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছিলেন। অনেকের কাছে এটি হয়ে ওঠে আশা, প্রতীক্ষা ও বিজয়ের প্রতীক।

একটি ভালোবাসা, যা সময়, দূরত্ব ও দুঃখ-কষ্টকে জয় করে ফের মিলনের পথে ফিরে এসেছে—এই মানবিক গল্প যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের বুকে এক টুকরো শান্তি ও মানবতার বার্তা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন