

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজা উপত্যকায় বিমান হামলায় ২৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর ইসরায়েল নতুন করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, গাজার দক্ষিণাঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকায় এই হামলা চালানো হয়, যার মাধ্যমে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ফেলে তারা। সূত্র: রয়টার্স।
সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, হামাসের যোদ্ধারা একটি অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে এবং গুলিবর্ষণ করে, যাতে ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের টানেল, অস্ত্র গুদাম, ফিল্ড কমান্ডারসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক বিমান হামলা চালায়।
এই হামলায় গাজার আল-জাওয়াইদা শহরে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের অন্তত ছয়জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জাবালিয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ইয়াহিয়া আল-মাবহুহ।
ইসরায়েলের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক চাপের মুখে ইসরায়েল আগামী সোমবার থেকে গাজায় আবারও মানবিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সম্মান করছে এবং রাফাহ অঞ্চলের সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে অবগত নয়।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, হামাসের প্রায় ৪০টির মতো আলাদা সেল এখনো সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, “এদের কেউ কেউ হয়তো যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলবে, তবে অনেকেই তা নাও করতে পারে।”
তার মতে, হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র করতে চাইলে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকেই সক্রিয়ভাবে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় অংশ নিতে হবে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে সেনাবাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
