

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একদিকে যখন বাণিজ্য ইস্যুতে আলোচনা চলছে এবং ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্রে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কথা বলা হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকে ট্রাম্প জানান যে, বিশেষ করে ভারত থেকে আমদানি হওয়া চালের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর বিষয়টি তিনি বিবেচনা করছেন। বৈঠকের সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব সচিব স্কট বেসেন্টকে প্রশ্ন করেন—ভারতের চাল ‘ডাম্পিং’ করতে দেওয়া হয় কেন এবং তারা কি কোনো ধরনের শুল্ক ছাড় পাচ্ছে?
বেসেন্ট জানান, ভারতীয় চাল আমদানিতে কোনো ছাড় নেই এবং দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনাও চলছে। এর পরই ট্রাম্প মন্তব্য করেন—ভারত যুক্তরাষ্ট্রে এভাবে চাল পাঠাতে পারে না; এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক সময়ে শুল্কসংক্রান্ত নানা মতবিরোধে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্পের ছবি পোড়ানোর ঘটনাও সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। একই সময়ে হায়দরাবাদের একটি সড়কের নাম তার নামে করার বিষয়টি আলোচনায় রয়ে গেছে।
ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন যে তিনি বিশ্বের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ বন্ধ করতে সহায়তা করেছেন। তাঁর ভাষ্যমতে, ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে তিনি বাণিজ্য আলোচনাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন—যদিও এ ধরনের কোনো বাণিজ্য চুক্তি আজও চূড়ান্ত হয়নি।
অপারেশন সিঁদুরের পরও ট্রাম্প কয়েক দফা মধ্যস্থতার দাবি করেছেন। কিন্তু দিল্লি সবসময়ই বলেছে, যুদ্ধবিরতি হয়েছে দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের সরাসরি আলোচনার ভিত্তিতে, যেখানে পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমওকে ফোন করে হামলা থামাতে অনুরোধ করেছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বেড়ে যায়। আগেই ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা আলোচনার ভিত্তিতে কমানো হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছিল। তবে তার আগেই তিনি আরও নতুন শুল্ক আরোপের সম্ভাবনার কথা তুলেছেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন

