

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামলার নির্দেশ দেওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাফাহ সীমান্ত এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা আহত হওয়ার পরপরই ওই এলাকায় বোমা বর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) এ খবরটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এ ঘটনায় হামাসের সামরিক শাখা ‘কাসাম ব্রিগেডস’ ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। তারা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের কারণে নিখোঁজ এক বন্দির মরদেহ হস্তান্তর আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংগঠনটি আরও সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল বড় কোনো উস্কানি দিলে গাজায় মৃতদেহ উদ্ধারের কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং অবশিষ্ট ১৩ জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারে বিলম্ব ঘটবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স এক বিবৃতিতে বলেন, ছোটখাটো সংঘর্ষ হতে পারে, তবে যুদ্ধবিরতি এখনও কার্যকর রয়েছেG তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা জানি, গাজায় একজন ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়েছেন। ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া জানাবে, তবুও শান্তি টিকে থাকবে বলে আশা করি।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, রাফাহে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি, জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক অভিযানকে যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, “আমরা চুক্তির শর্ত মেনে চলছি, কিন্তু ইসরায়েল তা করছে না।”
হামাস নেতা সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে বলেন, মরদেহ উদ্ধারে আমরা নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছি। এ বিলম্বের জন্য ইসরায়েলই দায়ী।
মন্তব্য করুন
