বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেনা হতে না চাওয়ায় ইসরাইলী কিশোরীর করুণ পরিণতি

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২১ পিএম
সেনা হতে না চাওয়ায় ইসরাইলী কিশোরীর করুণ পরিণতি
expand
সেনা হতে না চাওয়ায় ইসরাইলী কিশোরীর করুণ পরিণতি

ইসরায়েলের এক কিশোরী সম্প্রতি গাজা যুদ্ধকে ‘হলোকাস্ট’ হিসেবে বর্ণনা করে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি দেশটিতে প্রযোজ্য বাধ্যতামূলক সামরিক সেবাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান নিপীড়নের জন্য ইসরায়েলি সমাজকেও দায়ী করেছেন।

ড্যানিয়েল শুল্টজ নামের এই কিশোরী ২৩ অক্টোবর সামাজিক মাধ্যমে একটি থ্রেডে জানিয়েছে, তার এই পদক্ষেপ তিনি নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে নিয়েছেন। শুল্টজ লিখেছেন, শিশুদের অনাহারে মারা, গ্রাম উচ্ছেদ করা এবং বেসামরিক লোকদের শিবিরে পাঠানো-এর বিপরীতে অন্য কোনো বিকল্প ছিল না।

শুল্টজ পূর্বে ইয়েশ আতিদ যুব আন্দোলনের সদস্য ছিলেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী “বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী।

তবে তিনি এক মিশ্র বোর্ডিং স্কুলে ফিলিস্তিনি সহপাঠীদের ওপর চলমান নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করার পর এই দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করেন।

তার মতে, সামরিক পোশাক “আমার সহপাঠীদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এবং নিপীড়নের প্রতীক।

কিশোরী ইসরায়েলি সমাজের রাজনৈতিক কাঠামো ও নাগরিকদের সমর্থনকেও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “যে দেশ বা সমাজ অন্য মানুষদের ধ্বংসের মাধ্যমে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়, তার নিরাপত্তার কোনো অধিকার নেই।

শুল্টজের মতে, গাজায় ৭৭ বছর ধরে দখলদারিত্ব এবং দুই বছর ধরে চলা গণহত্যার পরও ইসরায়েলি সমাজ সৈন্যদের বীর হিসেবে সম্মানিত করে। নাগরিকরা যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহযোগীতা করছে, যার মাধ্যমে এক ‘নাগরিক মেরুদণ্ড’ তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ইহুদিবাদকে ‘মানসিক-বিকারগ্রস্ত জাতীয় উগ্রতাবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইহুদিবাদ তার অবিচ্ছেদ্য নীতি থেকে সরে আসছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলি সমাজ পুনর্বাসনের সুযোগ হারাবে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে দুই বছরের মধ্যে প্রায় ৭০,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও, বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানো অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র: প্রেস টিভি

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন