বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক গ্রেটা, জানালেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
গ্রেটা
expand
গ্রেটা

ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সুপরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। এ ঘটনায় তিনি জানিয়েছেন, আটক অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাদের কাছ থেকে অবমাননাকর আচরণ ও শারীরিক নির্যাতনের মুখে পড়তে হয় তাকে।

গত ২ অক্টোবর গাজা উপত্যকার অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে যাত্রা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ মানবাধিকারকর্মী। তাদের মধ্যে গ্রেটাও ছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ইসরায়েলি নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে এবং আসোদ বন্দরে নিয়ে যায়।

সুইডিশ পত্রিকা আফটোনব্লাডেট-এর সঙ্গে আলাপকালে গ্রেটা বলেন, বন্দরে পৌঁছানোর পর থেকেই তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ শুরু হয়। তার স্যুটকেস জব্দ করার পর ফেরত দেওয়া হলে দেখা যায়, তাতে ‘বেশ্যা থুনবার্গ’ লিখে দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি মার্কার দিয়ে আঁকা ছিল ইসরায়েলি পতাকা ও অশালীন চিত্র।

গ্রেটা জানান, তাকে জোর করে একটি লোহার খাঁচায় নেওয়া হয়। সেখানে প্রায় ৫০ জনকে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখি, তাদের হাতে হাতকড়া, কপাল মাটিতে ঠেকানো। এরপর আমার শরীরে জোর করে ইসরায়েলি পতাকা জড়িয়ে দেওয়া হয় এবং লাথি মেরে অপমান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, রক্ষীরা আমার টুপি খুলে মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়িয়ে দেয়। এমনকি কেউ কেউ হাসতে হাসতে আমার সঙ্গে ছবি তুলছিল। তাদের মধ্যে মানবতার কোনো চিহ্ন ছিল না।

থুনবার্গের ভাষায়, তাকে ও আরও প্রায় ৬০ জন বন্দিকে গাদাগাদি করে একটি ছোট ঘরে রাখা হয়েছিল, যেখানে প্রচণ্ড গরমে নিঃশ্বাস নেওয়াই কষ্টকর ছিল। আমরা সারাক্ষণ পানি চেয়েছি, কিন্তু তারা উপহাস করেছে, আমাদের সামনে বোতল ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিয়েছে, বলেন তিনি।

তিনি জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা চাওয়াতেও ভয় দেখানো হয়। “কারারক্ষীরা বলত, গ্যাস ছেড়ে দেবে। হাতে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে তারা দরজায় দাঁড়িয়ে হুমকি দিত,” বলেন গ্রেটা।

রাতেও নাকি শান্তি ছিল না। রক্ষীরা বারবার লোহার গেট নাড়ত, ফ্ল্যাশলাইট মেরে ঘুম ভাঙিয়ে দিত, যোগ করেন তিনি।

দীর্ঘ কয়েক দিনের নির্যাতনের পর ৬ অক্টোবর তাকে মুক্তি দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তবে গ্রেটার অভিযোগ, তার দেশ সুইডেনের দূতাবাস এই বিষয়ে কোনো সহায়তা করেনি; বরং ঘটনার সত্যতা আড়াল করার চেষ্টা করেছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন