

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


তিউনিসিয়ার উপকূলে অবৈধভাবে ইউরোপগামী অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে গেছে, এতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে বুধবার (২২ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, নৌকাটিতে প্রায় ৭০ জন অভিবাসী ছিলেন। মাহদিয়া উপকূলের কাছে নৌকাটি উল্টে গেলে এই প্রাণহানি ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি এই বছরের অন্যতম ভয়াবহ সামুদ্রিক দুর্ঘটনা, যা তিউনিসিয়ার উপকূলীয় এলাকায় অভিবাসী সংকটের একটি দুঃখজনক প্রতিফলন।
তিউনিসিয়ার ভূমিকা ইউরোপগামী অভিবাসীদের জন্য
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিউনিসিয়া ইউরোপগামী অভিবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও অত্যাচার থেকে পালিয়ে ভালো জীবন খুঁজতে মানুষেরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে চান।
বিশেষ করে লাম্পেদুসা দ্বীপ—তিউনিসিয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে—প্রথম নোঙর পয়েন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়। বিপজ্জনক সাগরপাড়ি দেওয়ার চেষ্টা প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে বিপদের মুখোমুখি করে।
স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা তিউনিশীয় ফোরাম ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রাইটস (FTDES) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন। এ সময় নৌকাডুবিতে ৬০০–৭০০ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন।
তুলনামূলকভাবে, ২০২৩ সালে সমুদ্রপাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১,৩০০-এরও বেশি মানুষ।
নিরাপত্তাহীন নৌকা, অপর্যাপ্ত জাহাজ ও বৈরী আবহাওয়া—এসব কারণে প্রতিটি যাত্রা জীবনহানির ঝুঁকিতে পরিণত হয়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের দুর্ঘটনা চলছেই।
মন্তব্য করুন
