

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বুলগেরিয়ায় দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন কয়েক দিন ধরে যেভাবে জোরালো হয়ে উঠেছিল, শেষ পর্যন্ত সেই চাপের মুখে সরকার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়। দেশজুড়ে হাজারো মানুষের বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন যে তাঁর প্রশাসন দায়িত্ব ছাড়ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বহুদিন ধরে দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন শহরে মানুষ রাস্তায় নামছিলেন। শুরুতে দুর্নীতিবিরোধী দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা সরকারবিরোধী রূপ নেয়। রাজধানী সোফিয়া থেকে শুরু করে কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী শহরগুলোতে টানা প্রতিবাদ দেখা যায়।
রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী রোসেন ঝেলিয়াজকভ এক বছরেরও কম সময় ক্ষমতায় থাকার পর সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। শাসক জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান সরকার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছে।
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ইউরো ভিত্তিক ২০২৬ সালের বাজেট পরিকল্পনা প্রকাশ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাড়তি কর, লভ্যাংশের ওপর চাপ বৃদ্ধি—এসব প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখা দেয়। পরে সরকার ওই বাজেট পরিকল্পনা প্রত্যাহার করলেও ক্ষুব্ধ জনগণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
গত চার বছরে দেশটিতে সাত দফা জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা আগেই চরমে পৌঁছেছিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরও স্থিতিশীলতা ফিরেনি।
বিক্ষোভ অংশ নেওয়া আইটি–পেশাজীবী অ্যাঞ্জেলিন বাহচেভানোভ বলেন, এখনই সময় বুলগেরিয়াকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার। দুর্নীতি, ক্ষমতাশালী গোষ্ঠী এবং তাদের ছায়া থেকে মুক্ত হওয়া জরুরি।
মন্তব্য করুন

